দীপক শর্মা দীপু :
কক্সবাজারে এবার আবাসিক হোটেলের ধারণ ক্ষমতার বেশী পর্যটক এসেছে। সাড়ে চার শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউসে ২ লাখ পর্যটক আবাসনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু পর্যটক এসেছে ৩ লাখের কাছাকাছি। অতিরিক্ত পর্যটকরা স্থানীয় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মেহমান হিসেবে অবস্থান নিয়েছেন।
টানা তিন দিনের ছুটিতে প্রায় ৩ লক্ষ পর্যটকে মুখরিত পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার। হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজে সংকুলান না হয়ে অনেক পর্যটক স্থান নিয়েছে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে। আগত এসব পর্যটকরা বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য সহ কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কারণে অনেকের কাছেই স্বপ্নের শহর। সমুদ্রের ঢেউয়ের লোনা জলে গা ভাসানো আর বালুকা বেলায় দাঁড়িয়ে সুর্যাস্ত দেখতে পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজারে ছুটে আসেন কয়েক লাখ পর্যটক। টানা তিন দিনের ছুটিতে ৩ লক্ষাধিক পর্যটক কর্ম ব্যস্থতা ফেলে পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজারে অবকাশ যাপন করছেন। সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজে সংকুলন না হয়ে অনেক পর্যটক স্থান নিয়েছে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে। ভ্রমন পিপাসু এসব পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি সমুদ্র ভ্রমন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, মেরিনড্রাইভ সড়ক, দরিয়ানগর পর্যটন স্পট, হিমছড়ি, ইনানী, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, মহেশখালী, সোনাদিয়া সহ বিভিন্ন স্পটে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সৈকতের বেলাভূমির পাশাপাশি প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করে অভিভূত পর্যটকরা।
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা কলেজ ছাত্র নাইম উদ্দিন জানান, তারা ৮ জন বন্ধু বেড়াতে এসে আবাসিক হোটেল না পেয়ে বিপাকে পড়ে যায়। পরে এক হোটেল ম্যানেজার তাদের একটি বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার কলিম উল্লাহ জানান, তিনি শতাধিত পর্যটকদের শুধূ রাতের জন্য বিভিন্ন অফিসে ও বাসায় রেখেছেন। এ জন্য এসব পর্যটকদের কাছ থেকে সামান্য টাকা নেয়া হয়েছে। যাতে এই টাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নসহ তাদের সেবা করা যায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-